1. live@bangladeshbartabd.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি : বাংলাদেশ বার্তা বিডি
  2. azadnews77@gmail.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি : বাংলাদেশ বার্তা বিডি
  3. kazimasud01723@gmail.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি : বাংলাদেশ বার্তা বিডি
  4. live@www.bangladeshbartabd.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি : বাংলাদেশ বার্তা বিডি
  5. marahimbablu@gmail.com : Rahim :
  6. info@www.bangladeshbartabd.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
নাঙ্গলকোটে ’পানির ঘন্টাধ্বনি’ কার্যক্রম উদ্বোধন চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন কার্যক্রমের উদ্বোধন আওয়ামী লীগ সরকার কৃষক বান্ধব সরকার : সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো: মুজিবুল হক এমপি ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক; বরেণ্য রাজনীতিবিদ আ.ক.ম ইসহাক’র আজ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর জীবন বাঁচতে পারে হৃদয়বান ব্যাক্তিদের মানবিক সাহায্যে চৌদ্দগ্রামে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জ পুলিশের চোরসহ ২টি ব্যাটারিচালিত মিশুক অটোভ্যান উদ্ধার লালমাইয়ে অবৈধ মাটি কাটার দায়ে ইউপি মেম্বার বিল্লালকে ১লক্ষ টাকা জরিমানা লালমাইয়ে প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে আমাদের আলোকিত সমাজে ঈদ পুনর্মিলনী ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নাঙ্গলকোটে স্বামীর বিক্রিত জমি ভূমিদস্যুর নিকট বিক্রি করে প্রতিপক্ষকে হয়রানির অভিযোগ

বাংলাদেশ বার্তা বিডি ডেক্স
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের কৈয়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন ১৯৯০সালে ৬০১২ নং রেজিস্ট্রি দলিলে তার ভাই আব্দুল গণির নিকট বিক্রিত জমি পুনঃরায় পাশ্ববর্তী কাদবা গ্রামের বিএনপি নেতা মাঈন উদ্দিন নামে এক ভূমিদস্যুর নিকট বিক্রয় করে ক্রেতা আব্দুল গনির ওয়ারিশ রবিউল হক মাসুদকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কৈয়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী জমি বিক্রেতা মাসুকা বেগম ও জমি ক্রেতা মাঈন উদ্দিন-সহ ৬জনের বিরুদ্ধে মৃত আব্দুল গণির নাতি রবিউল হক মাসুদ বাদী হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করে, যার নং পি.আর ১২২। মামলার বিষয়টি অবহিত হয়ে আসামীরা শুক্রবার সকালে মামলার বাদী রবিউল হক মাসুদকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিকট জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সহযোগীতা কামনা করেন মামলার বাদী রবিউল হক ও তার পরিবার। অভিযুক্ত মাঈন উদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকৃত জমি কম দামে ক্রয় করে জোরপূর্বক দখল করে বেশী দামে বিক্রয় করে আসছে বলে দাবী ভূক্তভোগীদের।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কৈয়া গ্রামের মৃত ছেলামত উল্লার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ১৯৯০ সালের ১৮ এপ্রিল ৬০১২ নং ছাপ কবলা দলিলে তার ভাই আব্দুল গণির নিকট সাবেক ৩৪৫ হালে ৯৩৪ দাগে ৩শতক, সাবেক ৩৪৬ হালে ৯৩৯ দাগে ৯শতক, সাবেক ৪৩২/৪৬৩ হালে ৯৪৭ দাগে ৯শতক, সাবেক ৩৬৯ হালে ৯২৪ দাগে ৩শতক জমি বিক্রয় করেন। বিক্রিত এ জমি গুলো নামজারি না করায় বিক্রেতা মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী মাসুকা তার ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে ওয়ারিশ সূত্রে একটি হেবার ঘোষণা দলিল নিয়ে সাবেক ৪৩২/৪৬৩ হালে ৯৪৭ দাগে ৯শতক জমি নিজ নামে নামজারি করে সম্প্রতি একই উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের কাদবা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মাঈন উদ্দিনের নিকট বিক্রি করে দেয়। এ ব্যাপারে পূর্বের জমিনের ক্রেতা আব্দুল গণির নাতি বাদি হয়ে কাদবা গ্রামের মাঈন উদ্দিন, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মিজান, মমিন, শাহ পারান, মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী মাসুকা ও মেয়ে তানজিনাকে আসামী করে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি রবিউল হক মাসুদ বলেন, আমার দাদার ক্রয়সূত্রে এ জমিন আমরা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে অদ্যবধি চাষাবাদ করে আসছি। সম্প্রতি কাদবা গ্রামের ভূমিদস্যু মাঈন উদ্দিন জমিটি আমাদের জেনেও গ্রামের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে আমার ছোট দাদার স্ত্রীর মাসুকার নিকট থেকে এ জমিটি ক্রয় করে মাটি ভরাট করতে আসে। আমি মাটি ভরাট করতে বাধা দিলে মাঈন উদ্দিন ও তার লোকজন এবং মামলার অপর আসামীরা আমাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং আমার উপর প্রকাশ্যে শ্রীফলিয়া বাজারে আক্রমণ করে। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বিক্রেতা মোহাম্মদ হোসেন ও গণি মিয়ার অপর ভাই মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, আমার উপস্থিতিতে আমার এক ভাই হোসেন জমি বিক্রি করে এবং আমার আরেক ভাই আব্দুল গণি জমি ক্রয় করে। এখন এ জমি আবার কিভাবে আমার ভাই হোসেনের স্ত্রী বিক্রি করেছে এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
এ ব্যাপারে কৈয়া গ্রামের সমাজপতি রফিকুল ইসলাম মজুমদার, তাবারক উল্লাহ মজুমদার, কামাল হোসেন নয়ন, মাওলানা ফজলুল হক মিয়াজী, মোহাম্মদ ইউনুস, ইউসুফ ও তৌহিদ উল্লাহ মজুমদার রায়হান বলেন, আমাদের গ্রামের সবাই মোহাম্মদ হোসেন ও আব্দুল গনির ১৯৯০ সালে ২৪শতক জমি ক্রয়-বিক্রয়ের বিষয়টি জানে। এখন বিক্রিত জমি আবার মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী মাসুকা বিক্রয় করে কেন অহেতুক আব্দুল গনির ওয়ারিশদের হয়রানি করছে বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা এ ব্যাপারে সামাজিক ভাবে এবং নাঙ্গলকোট থানায়ও শালিস বৈঠকে বসেছি, কিন্তু জমিন বিক্রেতা মোহাম্মদ হোসেনের ওয়ারিশদের অসহযাগীতার কারণে সমাধান করতে পারিনি।
মোহাম্মদ হোসেনের বড় ছেলে অভিযুক্ত মিজান বলেন, আমরা বি.এস সূত্রে মালিক তাই জমিটি বিক্রয় করেছি। এ জমি পূর্বে তার বাবা বিক্রয় করেছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, গণির ওয়ারিশরা এর প্রমাণ দিতে পারেনি তাই বিক্রয় করেছি।
এ ব্যাপারে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মাঈন উদ্দিন বলেন, আমি জমির কাগজ ঠিক থাকায় ক্রয় করেছি। আমার ব্যাপারে করা সব অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ হামিদ বলেন, বিরোধকৃত জমিটিতে মাটি ভরাট করা শুরু করলে তারা আমাকে বিষয়টি অবহিত করে। আমি এ ব্যাপারে একজন সার্ভেয়ার দিয়ে নির্ণয় করে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি। উভয় পক্ষ সমঝোতা চাইলে বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট