গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাকে নিজের বাড়িতে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মজুত করা ৩৭৫ মন পাটে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
থানা পুলিশসহ একাধিক সূত্রে থেকে জানা গেছে, চলতি মাসের ১২ ফেব্রুয়ারী রাতে পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড রামডাকুয়া মহল্লার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে নুর আলমের সাথে তার বোন জাহানারা বেগম মাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব বাঁধে। পরে ট্রিপল নাইনে ফোন করা হলে পুলিশ এসে অসুস্থ নুর আলমের মায়ের জবানবন্দি অনুযায়ী ছেলেদের বাড়িতেই থাকলে চাইলে জাহানারা ও তার মেয়েদের পুলিশ সরিয়ে দেন। পর দিন বৃদ্ধা মারা গেলে ওসিয়ত অনুযায়ী তাকে তার স্বামীর পাশে দাফন করানোর জন্য রামজীবন ইউনিয়নের সূবর্ণদহ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। লাশ দাফন করে বাড়ি ফেরার সময় নুর আলম ও তার ভাইকে জাহানারা বেগম তার স্বামী সুরুজ্জামানসহ মেয়েরা মিলে মারধর করার চেষ্টা করে। সেই সাথে মায়ের ব্যবহৃত গহনার ভাগ নিয়ে বিতর্কের একপর্যায়ে জাহানারা বেগম বলে বসে আমার ঘরে থাকা একটি পাটও তোকে বের করে নিয়ে যেতে দেবনা। পরে এনিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে পৌর সভায় নুর আলমের স্ত্রী মরিয়ম বেগম একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দুদিন পর সে মোতাবেক ১৬ ফেব্রুয়ারী গাবের তলে সালিস হয়। এতেও সমাধান না হওয়ায় ২৩ তারিখ রাতে মামলা হলে পুলিশ জাহানারা বেগমের জামাতা ও ২ মেয়েকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে পুলিশ পাট উদ্ধার করতে আসলে জাহানারা বেগম তার বাসার সমস্ত গেট বন্ধ করে দেয়। পুলিশ গেট খোলার জন্য বারবার ডাকার একপর্যায়ে ওই মজুত করা পাটের ঘরে আগুন লাগানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সব পাট উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার আইও এসআই আবু তালেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ১৭৫ মন পাটের মধ্যে ১২০ মন সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, আংশিক পুড়ে গেছে ৫০ মন আর বাকী গুলো অক্ষত রয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইন্চার্জ গোলজার হোসেনকে আগুনের সূত্রপাতের কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সঠিক তদন্ত না করা পর্যন্ত বলা যাবেনা আগুন কে লাগিয়েছে।
এব্যাপারে তদন্ত ওসি মিলন কুমার চ্যাটার্জীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মামলার ভিত্তিতে ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পাটের মালিক ও আগুন দেয়ার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।