নিজস্ব প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জ টু পাকুন্দিয়া সড়ক প্রসস্থ ও বাইপাস এর কাজ বন্ধ হয়ে আছে, যা মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায় কিশোরগঞ্জ টু পাকুন্দিয়া সড়কের মধ্য পাকুন্দিয়া থেকে পাইক লক্ষীয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারের একটি নতুন বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও বিন্নাটি, কোদালিয়া ও বাহাদিয়া এলাকায় তিনটি বাঁক সরলীকরণ কাজ সহ বেশ কয়েক স্থানে সড়ক প্রসস্থ করনের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। কোদালিয়া চৌরাস্তা বাজার থেকে নিদুর বাড়ি পর্যন্ত,বাইপাস এলাকায় সহ অন্যান্য যেসকল স্থানে কাজ বন্ধ আছে তা ভূমি অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ ও দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি করেছে ভুক্তভোগী স্থানীয় লোকজন। ভুক্তভোগী এলাবাসী বলেন, চৌরাস্তা থেকে কোদালিয়া নিদুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি চারটি বাক দুর্ঘটনা প্রবণ ও ঝুঁকিপূর্ণ।স্থানীয়রা বলেন বাইপাস হতে যেহেতু দেরী হচ্ছে তাহলে চৌরাস্তা বাজারে থেকে নিদুর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার দাবি জানায়।
কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-টোক সড়ক প্রকল্পে মাটি ভরাট ও নির্মাণ কাজ ১৭ কিলোমিটারের সড়ক এলাকার বেশকিছু জায়গায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রতিদিন এই সড়কে চলাচলকারি কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ গত বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর এই প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে পাশ হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পাই ন্যাশনাল ডেভেলপম্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার্স (এনডিই) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঐ বছরই প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে।প্রকল্পটির আওতায় কিশোরগঞ্জের বিন্নাটি চৌরাস্তা থেকে পাকুন্দিয়া হয়ে কাপাসিয়া উপজেলার টোক বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কটি ১৮ ফুট থেকে ৩২ ফুটে প্রশস্তকরণ, মধ্য পাকুন্দিয়া থেকে পাইক লক্ষীয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারের একটি নতুন বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও বিন্নাটি, কোদালিয়া ও বাহাদিয়া এলাকায় তিনটি বাঁক সরলীকরণ এবং একটি সেতুসহ ১২টি কালভার্ট নির্মাণ কাজ। এতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাস্তা নির্মাণের জন্য ১৮০ কোটি টাকা আর ৬৯.৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ খাতে রাখা হয় ৫০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্ব পায় কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদফতর।
পুরো সড়কটি সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই সড়কের দুই ধার ৩২ ফুট প্রশস্ত করণের কাজ প্রায় অর্ধেকের বেশি শেষ হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় জমির মালিকরা জায়গা না দেওয়ায় বাকি অর্ধেক কাজ বন্ধ হয়ে আছে। অন্যদিকে তিনটি বাঁক সরলীকরণ ও নতুন দুই কিলোমিটার বাইপাস সড়কটিতে কাজ ধীরগতি । এদিকে কোদালিয়া চৌরাস্তা বাজার থেকে নিদুর বাড়ি ও পাকুন্দিয়া সদর বাজার এলাকায় সড়ক ভেঙে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি জমে কাদা পানির সৃষ্টি হওয়ায় জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।চৌরাস্তা বাজারের ব্যবসায়ী মকবুল মিয়া বলেন, সড়কটি ভাঙা হলেও শুকনো মৌসুমে চলাচল করা যেত কিন্তু এখন হালকা বৃষ্টিতে কাদা একটু রোদে ধুলোবালির কারণে হাঁটাও যাচ্ছে না। বিভিন্ন ছোট বড় যানবাহন উল্টে পড়ে যাত্রী ও পথচারী প্রায়ই আহত হচ্ছে। অটোরিকশা চালক মোঃ মাসুদ মিয়া জানান, গাড়ি চালাতে সময় লাগছে বেশি ও ভাঙা থাকায় সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রতিদিনই গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। যা রোজগার করি গাড়ি মেরামতের পিছনেই সব শেষ হবে ।
মো: আব্দুর রহিম বাবলু কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত