স্টাফ রিপোর্টার:-
হত্যার উদ্দেশ্যে সাংবাদিককে মারধরের মামলায় জামিন পেয়েছেন বহু মামলার আসামি ছানা উল্লাহ ও তার সহযোগীরা। গতকাল রোববার আদালতে হাজির হয়ে তাদের আইনজীবি জামিন প্রার্থনা করলে আদালত অস্থায়ী জামিন প্রদান করেন। এর আগে ভুক্তভোগী সাংবাদিক ইফতেখারুল করিমের মামলায় পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় আদালত লায়ন ছানা উল্লাহসহ হামলায় অংশ নেয়া তার সহযোগী মো: আয়াছ, ছামিয়া জান্নাত ছমি,মো: কাইয়ুম, নাজমুল হক পুতুদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
আসামি ছানা উল্লাহ কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের মৃত মৌলভী হাসান শরীফের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামের চকবাজারের মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সদস্য। এছাড়াও আমাদের কক্সবাজার নামক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকও তিনি। অপর আসামিরা সবাই কক্সবাজারের বাসিন্দা।
মামলাসূত্রে জানা যায়, আসামি ছানা উল্লাহ ও তার সহযোগীরা প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে সাংবাদিক ইফতেখারুল করিমের সাথে বিয়ে দেন আসামি ছামিয়া জান্নাত ছমি নামে এক নারীকে। বিয়ের সময় সাংবাদিক ইফতেখারুল করিমের কাছ থেকে সাত ভরি স্বর্নালঙ্কারও আদায় করা হয়।বিয়ের কিছুদিন পর ইফতেখার জানেতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। কুমারি পরিচয়ে ছামিয়া জান্নাত নামে যে নারীর সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে সে নারী বিবাহিত ছিলেন এবং তার একটি সন্তানও রয়েছে। এ ধরণের প্রতারণার প্রমাণ পাওয়ার পর সাংবাদিক ইফতেখার ডিভোর্স দিয়ে দেন ওই নারীকে এবং তার দেয়া সাত ভরি স্বর্নালঙ্কার ফেরত চান। স্বর্ণ ফেরত দেয়ার কথা বলে সাংবাদিক ইফতেখারকে নিয়ে যাওয়া হয় ছানা উল্লাহর বাসায়। সেখানে তাকে আটক করে হুমকি ধামকি দিতে থাকে তারা। একপর্যায়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন ইফতেখার। এরপর কক্সবাজার আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতে মামলার পর থেকে আরও বেপোরোয়া হয়ে ওঠে ছানা উল্লাহ ও তার সহযোগীরা। তারা সাংবাদিক ইফতেখার ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। এমনকি হত্যার পর লাশ সাঙ্গু নদী ফেলে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় তারা।গতবছর জুন মাসের ১ তারিখ সাংবাদিক ইফতেখার চট্টগ্রাম শহর থেকে আনোয়ারা তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে তৈলার দ্বীপ নামক এলাকায় সাঙ্গু নদীর ব্রিজের উপর তার পথরোধ করে ছানা উল্লাহ ও সহযোগীরা। এরপর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর শুরু করে তারা। পরে আশেপাশে মানুষজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় । এরপর খবর পেয়ে সেখানে ইফতেখারের স্বজনরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পর সাংবাদিক ইফতেখারুল করিম চৌধুরী চট্টগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছানা উল্লাহসহ হামলায় অংশ নেয়া তার সহযোগী মো: আয়াছ, ছামিয়া জান্নাত ছমি,মো: কাইয়ুম, নাজমুল হক পুতুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।এরপর আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত শুরু করেন আনোয়ারা থানা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।