1. live@bangladeshbartabd.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি : বাংলাদেশ বার্তা বিডি
  2. azadnews77@gmail.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি : বাংলাদেশ বার্তা বিডি
  3. kazimasud01723@gmail.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি : বাংলাদেশ বার্তা বিডি
  4. live@www.bangladeshbartabd.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি : বাংলাদেশ বার্তা বিডি
  5. marahimbablu@gmail.com : Rahim :
  6. info@www.bangladeshbartabd.com : বাংলাদেশ বার্তা বিডি :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
নাঙ্গলকোটে ’পানির ঘন্টাধ্বনি’ কার্যক্রম উদ্বোধন চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন কার্যক্রমের উদ্বোধন আওয়ামী লীগ সরকার কৃষক বান্ধব সরকার : সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো: মুজিবুল হক এমপি ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক; বরেণ্য রাজনীতিবিদ আ.ক.ম ইসহাক’র আজ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর জীবন বাঁচতে পারে হৃদয়বান ব্যাক্তিদের মানবিক সাহায্যে চৌদ্দগ্রামে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জ পুলিশের চোরসহ ২টি ব্যাটারিচালিত মিশুক অটোভ্যান উদ্ধার লালমাইয়ে অবৈধ মাটি কাটার দায়ে ইউপি মেম্বার বিল্লালকে ১লক্ষ টাকা জরিমানা লালমাইয়ে প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে আমাদের আলোকিত সমাজে ঈদ পুনর্মিলনী ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ৪০ বছর পর যোগদানের চিঠি পেলেন ৬৬ জন

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরির জন্য যখন আবেদন করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের হুগলি জেলার দীনবন্ধু ভট্টাচার্য, তখন তিনি যুবক। বহু কাঠ-খড় পোড়ানোর পর অবশেষে গত বৃহস্পতিবার এসেছে সেই বহুপ্রতীক্ষিত চাকরিতে যোগদানের চিঠি। দীনবন্ধু ভট্টাচার্যের বয়স এখন ৬৪।

আশির দশকের কথা। প্রাথমিক শিক্ষকের পদে চাকরির জন্য পরীক্ষাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ। দায়ের হয় মামলা। তবে সুরাহা হয়নি। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর নিয়োগের চিঠি এসেছে বটে, কিন্তু তার মাঝেই পেরিয়ে গেছে প্রায় ৪০ বছর।

ভট্টাচার্য একা নন, তার মতো আরও ৬৬ জন রয়েছেন; যারা দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চাকরির চিঠি পেয়েছেন বটে। কিন্তু তাঁরা অবসর নেওয়ার বয়সসীমা পেরিয়েছেন।

ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

চাকরির চিঠি হাতে পেয়ে কী করতে হবে প্রথমে বুঝতেই পারেননি দীনবন্ধু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন আমি যুবক। সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক। চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে করতে এখন আমার বয়স ৬৪। গতকাল হাতে অ্যাপয়েন্টমেন্টের চিঠি পেয়েছি। আমি একা নই, আমার মতো ৬৬ জন এই চিঠি পেয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন তো বেঁচেই নেই।’

চিঠি হাতে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন, পান্ডুয়ার চক্র বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে। তার মতো আরও একাধিক ব্যক্তিই ছুটে যান সেখানে, চিঠির ‘মর্মার্থ বুঝতে’।

ঘটনা প্রবাহ
বাম আমলে ১৯৮৩ সালে শিক্ষক নিয়োগের চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন দীনবন্ধু ভট্টাচার্য, অচিন্ত্য আদক, কালীধন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আরও অনেকেই। চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার হয়েছিল সে বছর।

কালীদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘তখন আমার বয়স ২৭-২৮ হবে। প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলাম। ইন্টার্ভিউয়ের পর আমাদের নির্বাচনও হয়। কিন্তু সেই প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। আমরা সেই বছরই আদালতের দ্বারস্থ হই। সমস্ত কিছু বিক্রি করে এতদিন সেই মামলা চালিয়েছি।’

তিনিও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের চিঠি পেয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের কাছ থেকে। নিয়োগ সংক্রান্ত ওই মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। দীর্ঘ সময় ধরে মামলা চলে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের আগস্ট মাস থেকে তাদের চাকরিতে নিয়োগ করার কথা বলে আদালত।

রাজ্যের নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহন দাস পণ্ডিত বলেছেন, ‘১৯৮৩ সালে জুনিয়র বেসিক ট্রেনিং দেওয়া হতো। ওই বছর রাজ্যজুড়ে যে নিয়োগ হয়, সে সময় কেউ কেউ নিযুক্ত হয়েছেন আবার কেউ হননি। সে সময় নিয়ম ছিল ৬০ শতাংশ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেওয়া হবে এবং বাকি যাদের প্রশিক্ষণ নেই কিন্তু যোগ্য তাঁদের নেওয়া যেতে পারে।’

মোহন দাসে কথায়, ‘অন্যদিকে, মামলাকারীদের দাবি ছিল যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাদের সবাইকে প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবি জানিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলা চলতে থাকে। ৩০ বছর পর ওই মামলার যে রায় বেরোয় ২০১৪ সালে সেটা রাজ্য সরকার মানতে চায়নি, তাই সেই মামলা আবারও চলতে থাকে। অবশেষে ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগের। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে আদালতকে জানানোই হয়নি আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৬০ অতিক্রম করেছে এবং ৪ জন বেঁচে নেই।’

তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে জেলা পরিষদের নিয়োগের চিঠি পাঠায়। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত ছিল খোঁজখবর নিয়ে আদালতকে সঠিক তথ্য দেওয়া। সেটা তারা করেনি। বরং রাতারাতি নিয়োগের চিঠি পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি হুগলি জেলা পরিষদের কেউ।

নিয়োগপত্রে সই রয়েছে হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন শিল্পা নন্দীর। জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্যের দাবি, আদালতের রায় সংক্রান্ত নথিতে নাম ঠিকানার উল্লেখ থাকলেও বয়সের কথা বলা নেই।

অন্যদিকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের ওই জেলা পরিষদের সদস্য সুবীর মুখোপাধ্যায়ও। জেলা পরিষদের সদস্য মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কোর্টের নিয়োগ সংক্রান্ত রায় অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।’

বন্ধু তো মরেই গেল
দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিয়োগের চিঠি মিলল ঠিকই, কিন্তু স্বস্তি মিলল কি? আক্ষেপ করে দীনবন্ধু ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। চাকরির অপেক্ষা করতে করতে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। মামলা লড়তে আর অন্যান্য খরচ চালাতে গিয়ে আমাদের ১ বিঘা জমি বিক্রি করতে হয়েছে। এখন থাকি বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে। ভেবেছিলাম ছাত্র পড়াব এখন লোকের জমিতে চাষ করে খাই। তবু আমরা অন্তত বেঁচে আছি, বন্ধু তো মরেই গেল।’

হুগলি জেলা পরিষদের নিয়োগপত্র অনুযায়ী, এখন তার যোগ দেওয়ার কথা কাছের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি বলেছেন, ‘উমেশ তালুকদার, সইদুল হালদার, স্বপন ঘোষসহ তিনজনকে হারিয়েছি আমরা। অনেকেরই সংসার ভেসে গেছে।’

একই কথা জানালেন খন্যানের অচিন্ত্য আদক। তিনি বলেন, ‘আমার যোগ দেওয়ার কথা বাণী মন্দির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। চিঠি পাওয়ার পর আমিও যোগাযোগ করেছিলাম।’

নিজের আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অচিন্ত্য হালদার। তিনি বলেন, ‘খুব অভাবের সংসার। আমি আর আমার বৌদি থাকি। দাদা চাকরি করত। তিনি বেঁচে থাকতে কিছু একটা করে চলত। তিনি মারা যাওয়ার পর খুব কষ্টে চলছে আমাদের। মামলা চালাতে অর্থ গেছে, আর জীবনের অর্ধেকটা তো চলেই গেল। আমার বয়স ৬৮ পেরিয়েছে।’

রাজনৈতিক বিতর্ক
এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক এখন তুঙ্গে। বিজেপির হুগলি জেলার প্রেসিডেন্ট স্বপন পাল বলেছেন, ‘একের পর এক দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে খবরের শিরোনামে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করেছে তৃণমূল সরকার?’

যারা নিয়োগের চিঠি পেয়েছেন, তাদের পক্ষ নিয়ে বর্তমান সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তার কথায়, ‘৬০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর চাকরির চিঠি পাওয়াটা প্রহসন ছাড়া কী! কেউ মারা যাওয়ার পর তার পরিবারের হাতে যদি নিয়োগের চিঠি এসে পৌছায় তাহলে তার মানসিক পরিস্থিতি কী হয়? এটা কী তার পরিবারের দুর্বল জায়গায় আবার আঘাত করা নয়?’

তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তোপ দেগেছেন বাম সরকারের ওপর। তিনি বলেন, ‘এটা তো বাম জমানার কথা। তারা জবাব দিক। যত দোষ আমাদের?’

অন্যদিকে, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের দিকে। তাঁর কথায়, ‘যাকে নিয়োগ করা হচ্ছে তাঁর বয়স কত এবং তিনি বেঁচে আছেন কি না সেটাও তাঁদের খোঁজ নেওয়ার দরকার নেই। লুট আর দুর্নীতিটা এত ভয়াবহ যে কিছু বলার নেই। শুধুই গোঁজামিল দেওয়ার চেষ্টা।’

কলকাতার রাস্তায় চাকরি প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সব বেরিয়ে আসছে আস্তে আস্তে। পুরো বিষয়টাই কিন্তু তৃণমূলের ইচ্ছাকৃত।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট